দোয়া কুনুত
দোয়া কুনুত ইশার নামাযের চার রাকাত ফরজের নামায আদায় করার পর দুই রাকাত সুন্নত পড়ে এরপর তিন রাকাত বিতর নামাযের শেষ রাকাতে রুকুতে যাওয়ার আগে পড়তে হয় ।
আরো দেখুন দোয়া মাসুরা
اَللَّهُمَّ اِنَّا نَسْتَعِيْنُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِىْ عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلاَ نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَّفْجُرُكَ-اَللَّهُمَّ اِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّىْ وَنَسْجُدُ وَاِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ وَنَرْجُوْ رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ اِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্না নাছতাঈনুকা ওয়া নাছতাগ ফিরুকা ওয়া নু’মিনু বিকা
ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া নুসনি আলাইকাল-খাইর।
ওয়া নাশকুরুকা ওয়ালা নাকফুরুকা ওয়া নাখ লাঊ’ ওয়া নাতরুকু মাইয়্যাফজুরুকা ।
আল্লাহুম্মা ইয়্যাকা না’বুদু ওয়া লাকা নুসাল্লি ওয়া নাছজুুদু ওয়া ইলাইকা নাছআ’
ওয়া নাহফিদু ওয়া নারজু রাহমাতাকা ওয়া নাখশা আযাবাকা
ইন্না আযাবাকা বিল কুফফারি মুলহিক্ব ।
বাংলা অর্থঃ হে আল্লাহ! আমরা তোমারি নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি,
তোমারি নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি,
তোমারি উপর বিশ্বাস করি ও ভরসা করি
এবং সকল মঙ্গল তোমারি দিকে ন্যস্ত করি ।
আমরা তোমার কৃতজ্ঞ হয়ে চলি অকৃতজ্ঞ হই না ।
যাহারা তোমার হুকুম অমান্য করে
তাদের সঙ্গে আমরা সংশ্রব ও সংসগ্র পরিত্যাগ করি ।
হে আল্লাহ ! আমরা তোমারি দাসত্ব করি,
তোমারি জন্য নামাজ পড়ি এবং তোমাকেই সিজদাহ করি ।
আমরা তোমারি দিকে দৌড়াই ও এগিয়ে চলি ।
আমরা তোমরি রহমত আশা করি এবং তোমারই আযাববে ভয় করি ।
নিশ্চই তোমার আযাব কাফেরদের জন্যই নির্ধারিত ।
দোয়া কুনুত কখন পড়তে হয়
এশার নামাযের পর দুরাকাত সুন্নত আদায় করে
এরপর তিন রাকাত বিতর আদায় করতে হয় ।
এবং এ নামাযের তৃতীয় রাকাত তথা শেষ রাকাতে
রুকুতে যাওয়ার আগে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব ।
দোয়ায়ে কুনুত এর পরিবর্তে তিন বার
সূরা ইখলাস পড়া গ্রহণযোগ্য মত নয় ।
কারণ, সুরা ইখলাস কুনুত বা দোয়া সম্বলিত সূরা নয় ।
বিতর নামাযে দোয়া কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে দোয়া করা ।
অবশ্য হাদীসে বর্ণিত দোয়া যেমন,
(আল্লাহুম্মা ইন্ন নাছতাঈনুকা) এটা পড়া সুন্নত সুতরাং এটাই পড়া উত্তম ।
ইমাম নববী অনুযায়ী যে কোন দোয়া পড়লে এর দ্বারা দোয়া কুনুত অর্থাৎ দোয়া করা হয়ে যাবে ।
এমনকি দোয় সম্বলিত এক বা একাধিক কুরআনের আয়াত পড়লেও কুনুতের উদ্দেশ্য হাছিল হয়ে যাবে ।
( ইমাম নববীর আল’ আযকার ৫০)
তবে হাদিসে যে দোয়া এসেছে সেটা পড়া উত্তম
কিন্তু কেউ যদি বিতরের নামাযে কোন দোয়াই না পড়ে তাহলে পুনরায় নামাজ আদায় করতে হবে ।
(আলমুহীতুল বুরহানী ২/২৭০; আলবাহরুর রায়েক ২/৪২; রদ্দুল মুহতার ১/৪৬৮; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাদ্দুর ১/২৮০)